বাইআত(allegiance)-48:10,18
🌠বাইআত(allegiance)-48:10,18
👇
١٠:٤٨
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ ۚ فَمَنْ نَكَثَ فَإِنَّمَا يَنْكُثُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
48:10,18
নিশ্চয় যিসকলে তোমাৰ ওচৰত বাইআত কৰে অৱশ্যে তেওঁলোকে আল্লাহৰ হাততহে বাইআত কৰে। আল্লাহৰ হাত তেওঁলোকৰ হাতৰ ওপৰত। তাৰ পিছত যিয়ে সেইটো ভঙ্গ কৰিব, সেই ভঙ্গ কৰাৰ পৰিণাম তাৰেই ওপৰত বৰ্তিব আৰু যিয়ে আল্লাহৰ লগত কৰা অঙ্গীকাৰ পূৰ্ণ কৰিব তাক আল্লাহে অৱশ্যে মহাপুৰষ্কাৰ প্ৰদান কৰিব।
.
١٨:٤٨
۞ لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا
৪৮:১৮
অৱশ্যে আল্লাহে মুমিনসকলৰ প্ৰতি সন্তুষ্ট হৈছে, যেতিয়া তেওঁলোক গছৰ তলত তোমাৰ ওচৰত বাইআত গ্ৰহণ কৰিছিল, এতেকে তেওঁলোকৰ অন্তৰত যি আছিল সেয়া তেওঁ জানি লৈছে; ফলত তেওঁ তেওঁলোকৰ ওপৰত প্ৰশান্তি অৱতীৰ্ণ কৰিলে আৰু তেওঁলোকক আসন্ন বিজয়েৰে পুৰষ্কৃত কৰিলে;
.
👇👇
9:111
١١١:٩
۞ إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
৯:১১১
নিশ্চয় আল্লাহে মুমিনসকলৰ পৰা সিহঁতৰ জীৱন আৰু সম্পদ কিনি লৈছে (ইয়াৰ বিনিময়ত) যে, সিহঁতৰ বাবে আছে জান্নাত। সিহঁতে আল্লাহৰ পথত যুদ্ধ কৰে, অৱশেষত সিহঁতে (শত্ৰুক) মাৰে আৰু নিজেও মৰে। এতেকে তাওৰাত, ঈঞ্জীল আৰু কোৰআনত এই বিষয়ে সিহঁতৰ সত্য প্ৰতিশ্ৰুতি আছে; আৰু নিজ প্ৰতিজ্ঞা পালনত আল্লাহতকৈ শ্ৰেষ্ঠ আন কোন আছে? সেয়ে তোমালোকে আল্লাহৰ লগত যি বেচা-কিনা কৰিছা তাৰ বাবে আনন্দিত হোৱা; আৰু এইটোৱেই হৈছে মহাসফলতা।
👇👇👇👇
বেহেশত কি ভাবে ক্রয় করতে হবে উহার বিবরণ।
اِنَّ اللّٰهَ اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَهُمۡ وَ اَمۡوَالَهُمۡ بِاَنَّ لَهُمُ الۡجَنَّۃَ ؕ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ فَیَقۡتُلُوۡنَ وَ یُقۡتَلُوۡنَ ۟ وَعۡدًا عَلَیۡهِ حَقًّا فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ وَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ مَنۡ اَوۡفٰی بِعَهۡدِهٖ مِنَ اللّٰهِ فَاسۡتَبۡشِرُوۡا بِبَیۡعِکُمُ الَّذِیۡ بَایَعۡتُمۡ بِهٖ ؕ وَ ذٰلِکَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۱۱۱﴾
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ ওয়াদা পূরণে আল্লাহর চেয়ে অধিক কে হতে পারে? সুতরাং তোমরা (আল্লাহর সংগে) যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং সেটাই মহাসাফল্য। ৯:১১১
সারাংশঃ
বেহেশত আমরা কি ভাবে ক্রয় করবো?
আল্লাহ তায়ালা সূরা তাওবার ১১১ নং আয়াতে বেহেশত বিক্রয়ের দরপত্র আহবান করেছেন এবং দরপত্রের মূল্যও দিয়ে দিয়েছেন তা হলো—
প্রথমত আমার স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ, রোপ্য, নগদ টাকা পয়সা, মুদ্রা, ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ,নগদ একাউন্ট, সঞ্চয় পত্র, ইত্যাদিতে আমার যত অর্থ আছে সব আল্লাহর জন্য দান করে দিতে হবে। বাকী আছে আমার জান।
দ্বিতীয়ত মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার
জন্যে প্রয়োজনে আমার জানটাও উৎসর্গ করে দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম নীতির মাধ্যমে জীবন দিয়েদিতে হবে। তা হলো আমি সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বহিরাগত শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য তাদের সাথে যুদ্ধ করে আমার জীবটা দিয়ে দিতে আমার কোন দ্বিধা বোধ থাকতে পারবেনা।
আমার জান মাল সব কিছুর বিনিময় আমি যে বেহেশত পেলাম অর্থাৎ, আল্লাহর সাথে আমার যে লেন দেন হলো এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয়। এতে আমি ঠকি নাই। বরং আমি জিতেছি। এটাই আমার সাফল্য।
আমরা দুনিয়াতে খালি হাত নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি আবার দুনিয়া থেকে যাওয়ার সময় খালি হাত নিয়েই যাব। মাঝ খানে আল্লাহই আমাদেরকে সম্পদের মালিক বানায়েছেন। আল্লাহর দেওয়া সম্পদ আল্লাহর ওয়াস্তে দান করলে এর বিনিময় আল্লাহ আমাদেরকে আবার বেহেশতের মালিক বানায়ে দিবেন। অর্থাৎ, যার সম্পদ তাকে দিয়ে দিলাম মাঝ খানে আমি বেহেশতের মালিক হলাম এর চেয়ে বড় খুশি আর কি হতে পারে?
সুতরাং আমরা আল্লাহর সাথে বেহেশত ক্রয়ের এ লেনদেন আনন্দের সাথে করবো।
মোটকথাঃ বেহেশত পেতে হলে আমার সম্পূর্ণ অর্থ সম্পদ আল্লাহর ওয়াস্তে দান করে দিতে হবে, আমার জন্য আমার পকেটে এক পয়সাও রাখা যাবেনা এবং সর্বশেষ প্রয়োজন হলে আমার জীবনটাও
আল্লাহকে দিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ, আমিত্ববোধ বলতে কিছুই থাকতে পারবেনা। কেননা আল্লাহ তায়ালা আমার জান ও মাল জান্নাতের বিনিময় ক্রয় করেছেন। আমার জন্যে জান্নাত ছাড়া আর কিছুই থাকছেনা।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন —
اِنَّ اللّٰهَ اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَهُمۡ وَ اَمۡوَالَهُمۡ بِاَنَّ لَهُمُ الۡجَنَّۃَ
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে
জান্নাত।
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা মুমিনের নিকট জান্নাত বিক্রয় করবেন মুমিনের সম্পদ এবং জীবনের বিনিময়।
এক কথায় টাকা দিয়ে বেহেশত ক্রয় করতে হবে।
এ টাকা কার কাছে কোন ঠিকানায় দিবেন?
এ টাকা এতিম মিসকিন (অসহায় মানুষ) এর নিকট দিবেন। এরা হলো আল্লাহর নিকট অর্থ পাঠানোর ঠিকানা।
এ ঠিকানায় দিলেই আল্লাহ পেয়ে যাবেন।
বেহেশতের দাম কত?
বেহেশতের দাম কাস্টমার হিসেবে ঠিক করা হয়েছে।
যে কাস্টমারের নিকট কোটি টাকা আছে তার কাছে কোটি টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।
যে কাস্টমারের নিকট লক্ষ টাকা আছে তার কাছে লক্ষ টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।
যে কাস্টমারের নিকট হাজার টাকা আছে তার কাছে হাজার টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।
যে কাস্টমারের নিকট শত টাকা আছে তার কাছে শত টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।
যে কাস্টমারের নিকট এক টাকা আছে তার কাছে এক টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।
যে কাস্টমারের নিকট শূন্য টাকা আছে তার কাছে শূন্য টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। কেননা সম্পদ পুঞ্জিভূত ও আগলে রাখলে তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত।
আমি সব টাকা আল্লাহকে দিয়ে দিলে আমি কি ভাবে চলব আমার সংসার কি ভাবে চলবে?
এ প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ প্রথমেই দিয়ে দিয়েছন। তিনি বলেছেন আমি বেহেশত মুমিনের কাছে বিক্রয় করবো, কোন কাফির, মুনাফিক ও মুশরিকের কাছে বিক্রয় করব না।
মুমিন তো আল্লাহর প্রতি এত টুকু বিশ্বাস থাকতে হবে যে আল্লাহ আজকে আমাকে ও আমার পরিবারকে রিযিক সরবরাহ করেছেন, আগামী দিনও সে আল্লাহ আমাদেরকে রিযিক সরবরাহ করবেন।
আল্লাহ তায়ালার প্রতি যার এতটুকু বিশ্বাস নেই সেতো মুমিনই নয়। সে তো কোটি টাকা দিলেও তার কাছে আল্লাহ তায়ালা বেহেশত বিক্রি করবেন না।
তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে।
সকল আসমানী কিতাবে বেহেশত ক্রয়ের নীতিমালা একই যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ ইবাদত বন্দেগী তথা নামাজ, রোযা, হজ্ব, পর্দা ও যিকির ইত্যাদি দ্বারা বেহেশত বেচাকেনা হয়না। বেহেশত বেচাকেনা হয় জীবন দিয়ে ও টাকা দ্বারা। আমরা যারা ইবাদত দ্বারা বেহেশত ক্রয় করার চিন্তা ভাবনা করছি। আমাদের এ চিন্তা ভাবনা ভুল।
এখনো সময় আছে আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করে নিই।
অপর দিকে আমরা যারা হরতাল অবরোধ
করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বা প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যাচিছ আমরা নিজেকে শহিদ বলে গর্ববোধ করে বেহেশতের দাবিদার মনে করছি। আমাদের এ চিন্তা ভাবনাও ভুল। কেননা হরতাল অবরোধ এগুলো আল্লাহর রাস্তা নয়। এগুলো দুনিয়া হাসিলের বিভিন্ন পন্থা।
বিঃ দ্রঃ مال মাল শব্দটি عام আম শব্দ (ব্যপকতা অর্থে) ব্যবহৃত হয়। এখানে “মাল” শব্দ দ্বারা যত প্রকারের অর্থ সম্পদ আছে সব গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
.
💖syedraf💖
Comments
Post a Comment