কোরআন কি বলে সালাত সম্পর্কে?

ধৈর্যের বাঁধ শক্ত থাকলে পড়ুন।
কোরআন কি বলে সালাত সম্পর্কে? 
নবী, রাসুল, মুমিন,মোনাফেক, মুশরিক সালাত আদায় করে।

1:🌹তারা বলল, ‘হে শু‘আয়ব! তোমার সালাত/ নামাজ কি তোমাকে এই হুকুম দেয় যে, আমাদের পিতৃপুরুষ যার ‘ইবাদাত করত আমরা তা পরিত্যাগ করি বা আমাদের ধন-সম্পদের ব্যাপারে আমাদের ইচ্ছে (মাফিক ব্যয় করা) বর্জন করি, তুমি তো দেখছি বড়ই ধৈর্যশীল, ভাল মানুষ।’"
(QS. Hud 11: Verse 87)শুআয়ব নবীর সালাত অর্থাৎ সালাত আদায়কারী পিতৃ পুরুষের ভুল পথ অনুসরণ করতে পারে না।আর ধন সম্পদ নিজের ইচ্ছে মত ব্যায় করতে পারে না আল্লাহর বেঁধে দেওয়া নিয়ম ছাড়া। 

2:🌹"প্রকৃতই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমার ‘ইবাদাত কর, আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে সালাত কায়িম কর।’"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 14) মূসা নবীর সালাত।

3:🌹"আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি  আমাকে বরকতময় করেছেন আর আমাকে সালাত ও যাকাতের হুকুম দিয়েছেন- যতদিন আমি জীবিত থাকি।"
(QS. Maryam 19: Verse 31)ঈসা নবীর সালাত।

4:🌹"এবং যখন তুমি মু’মিনদের মাঝে অবস্থান করবে আর তাদের সঙ্গে নামায কায়িম করবে তখন তাদের একটি দল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং সশস্ত্র থাকে, তাদের সাজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান করে এবং অপর যে দলটি নামায আদায় করেনি তারা যেন তোমার সঙ্গে নামায আদায় করে।
(QS. An-Nisa' 4: Verse 102) মুহাম্মদ নবীর সালাত।

5:🌹"হে বৎস! তুমি সালাত কায়িম কর, সৎ কাজের নির্দেশ দাও আর মন্দ কাজ হতে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ।"
(QS. Luqman 31: Verse 17)লুকমান তার ছেলেকে সালাতের কথা বলছেন।।

6:🌹"আর স্মরণ কর, যখন বানী ইসরাঈলের শপথ নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত করবে না, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, অনাথ ও দরিদ্রদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে, সালাত কায়িম করবে এবং যাকাত দিবে। কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা অগ্রাহ্যকারী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলে।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 83)বানী ইসরাইল দের সালাত।

7:🌹"হে মু’মিনগণ! ধৈর্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 153) মুমিন গানের সালাত 

8:🌹"নিশ্চয় মুনাফিকগণ আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে, তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে শাস্তি দেন এবং তারা যখন সলাতের জন্য দাঁড়ায়, তখন শৈথিল্যভরে দাঁড়ায়, লোক দেখানোর জন্য, তারা আল্লাহকে সামান্যই স্মরণ করে।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 142)মুনাফিকের সালাত।

ওয়ামা-কা-না সালা-তুহুম ‘ইনদাল বাইতি ইল্লা-মুকা-আওঁ ওয়া তাসদিয়াতান ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।

9:🌹"আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের নামায হাত তালি মারা আর শিশ দেয়া ছাড়া আর কিছুই না, (এসব অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে বলা হবে) ‘‘আযাব ভোগ কর যেহেতু তোমরা কুফরীতে লিপ্ত ছিলে’’।"
(QS. Al-Anfal 8: Verse 35) 8/30-35 আয়াতে 
 কাফেরদের সালাত। 

10"সাত আসমান, যমীন আর এগুলোর মাঝে যা আছে সব কিছুই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। এমন কোন জিনিসই নেই যা তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তোমরা বুঝতে পার না কীভাবে তারা তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরম সহিষ্ণু, বড়ই ক্ষমাপরায়ণ।"
(QS. Al-Isra' 17: Verse 44)

11:🌹"তুমি কি দেখ না, তিনি হলেন আল্লাহ, আসমান ও যমীনে যারা আছে সকলেই যাঁর প্রশংসা গীতি উচ্চারণ করে আর (উড়ন্ত) পাখীরাও তাদের ডানা বিস্তার ক’রে? তাদের প্রত্যেকেই তাদের ‘সালাত ও প্রশংসাগীতির পদ্ধতি জানে, তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে খুবই অবগত।"
(QS. An-Nur 24: Verse 41)
17/44,!24/41 প্রকৃতির সালাত 

✅ সালাত অন্য ধর্মের লোক ছাড়া আসমান ও জমিনের যা কিছু আছে  এবং পাখিরাও সকলেই আদায় করে ।
কোরআন দ্বারা প্রমাণিত।

12:🌹"মানুষকে তাড়াহুড়াকারী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনগুলো দেখাব কাজেই তোমরা আমাকে জলদি করতে বল না।"
(QS. Al-Anbiya 21: Verse 37)🌹🌹🌹🌹

তাড়াহুড়ো না করে একটু সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে পড়ুন।

💐💐💐💐  কাফের মুশরিক এদের সালাত দূরে থাক আমাদের প্রয়োজন নবী-রাসূল ও মুমিনদের সালাত।

✅তাহলে কোরআনের সালাত কোথায় পাওয়া যাবে?

আসুন দেখি এই আয়াত গুলোতে কি বলা হয়েছে 👎

13:🌹"বল, আমাকে আমার রব্ব সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন (যা) সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন, একনিষ্ঠ ইবরাহীমের পথ। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।"
(QS. Al-An'am 6: Verse 161)

✅রাসূল কে আল্লাহ ইব্রাহিমের পথে পরিচালিত করেছেন।
কারণ ইব্রাহিম সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীনের উপর ছিল।

14:🌹"আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।"
(QS. Al-An'am 6: Verse 162)

ইব্রাহিম যে দ্বীনের উপর ছিল সেই দ্বীনে ও সালাত ছিল এজন্য আল্লাহ রাসূল কে হুকুম করেছেন বলুন আমার সালাত কোরবানি আল্লাহর জন্য। ✅

15:🌹"এবং স্মরণ কর যখন ইবরাহীমকে তার প্রতিপালক কতিপয় বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে  সেগুলো  পূর্ণ করল, তখন  আল্লাহ  বললেন, ‘আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করছি’। ইব্রাহীম আরয করল, ‘আর আমার বংশধর হতেও’? নির্দেশ হল, আমার অঙ্গীকারের মধ্যে যালিমরা শামিল নয়।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 124)

16:🌹"আমি ইবরাহীমকে দান করেছিলাম ইসহাক, আর অতিরিক্ত হিসেবে (পৌত্র) ইয়া‘কুব, (তাদের) প্রত্যেককেই আমি করেছিলাম সৎকর্মশীল।"
(QS. Al-Anbiya 21: Verse 72)

17:🌹"বল, ‘আল্লাহ সত্য বলেছেন, সুতরাং তোমরা একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের অনুসরণ কর, সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়’।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse 95)

২/১২৪ এ মানবজাতির নেতা ইব্রাহিম রাসূল ।
৩/৯৫ এ আল্লাহ একনিষ্ঠ ভাবে ইব্রাহিম রাসূলের অনুসরণ করতে বলেছে।✅

18:🌹"সে ব্যক্তি অপেক্ষা দ্বীনে কে বেশি উত্তম যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে, অধিকন্তু সে সৎকর্মশীল এবং একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের দ্বীন অনুসরণ করে। আল্লাহ ইবরাহীমকে একান্ত বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছিলেন।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 125)
আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহিম রাসূল।

৩/৯৫ এ আল্লাহ ইব্রাহিমের অনুসরণ করতে বলেছে।
৪/১২৫ এ আল্লাহ বলেন আত্মসমর্পণ(মুসলিম হয়ে) করে   সৎকর্মশীল হয়ে একনিষ্ঠ ভাবে ইব্রাহিমের দ্বীন অনুসরণ করলে সেই হবে উত্তম। এখানে ও আল্লাহ ইব্রাহিমের অনুসরণ করতে বলেছে।✅

🌲আল্লাহ ইব্রাহিম রাসূলকে মানবজাতির নেতা করেছে এবং তার অনুসরণ করতে বলেছে। ইব্রাহিম রাসূল অবশ্যই সালাত আদায় করেছেন।তাহলে দেখি ইব্রাহিম রাসূলের অনুসরণে সালাত পাওয়া যায় কিনা।

19:🌹"এবং স্মরণ কর যখন আমি কা‘বাগৃহকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র এবং নিরাপদস্থল করলাম এবং বললাম, মাকামে ইব্রাহিম (‘ইবরাহীমের দারানোর স্থান) কে সালাতের স্থান হিসেবে গ্ৰহন করএবং ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে বলেছিলাম, ‘আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ই‘তিকাফকারী এবং রুকূ ও সাজদাহকারীদের জন্য পবিত্র রাখবে’।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 125)

কাবা গৃহ কে মানুষের জন্য মিলন কেন্দ্র এবং নিরাপদ স্থল করেছে আল্লাহ। আর মাকামে ইব্রাহিমকে সালাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ করতে আদেশ করেছে আরও আদেশ করেছে ইব্রাহিম রাসূল ও ইসমাইলকে তার গৃহ তাওয়াফকারী ইতিকাফ কারী এবং রুকু ও সেজদা কারীর জন্য পবিত্র রাখতে।✅

প্রশ্ন: কাবা গৃহ কোনটা যেটা মানুষের জন্য মিলন কেন্দ্র করেছেন?
প্রশ্ন:মাকামে ইব্রাহিম কোথায়?

ইন্না আওওয়ালা বাইতিওঁ উদি‘আ লিন্না-ছি লাল্লাযী ব্বিাক্কাতা মুবা-রাকাওঁ ওয়াহুদাল লিল‘আ-লামীন।

20:🌹"নিঃসন্দেহে প্রথম ঘর যা সারা জাহানের মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল, তাতো (বাক্কায় )মক্কা্য়, যা বরকতমন্ডিত এবং বিশ্বাসীদের জন্য পথপ্রদর্শক।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse 96) 

21:🌹তাতে (ঐ ঘরে)সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে (যেমন) মাক্বামে ইবরাহীম। যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে নিরাপদ হবে। আল্লাহর জন্য উক্ত ঘরের হাজ্জ করা লোকেদের উপর আবশ্যক যার সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে এবং যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে, (সে জেনে রাখুক) নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্ব জাহানের মুখাপেক্ষী নন।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse97) 

২/১২৫ এ আল্লাহ কাবা গৃহ কে মানুষের জন্য মিলন কেন্দ্র করেছেন। কিন্তু কাবা কোনটা তা বলে নাই।
৩/৯৬ এ আবার বললেন নিঃসন্দেহে প্রথম ঘর যা সারা জাহানের মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল তা বাক্কায় (মক্কায়)।✅

এই দুই আয়াত থেকে পাওয়া গেল কাবা ঘর কোনটা। সেটা হচ্ছে২/১২৫এ মানুষের জন্য মিলন কেন্দ্র ৩/৯৬ এ সারা জাহানের মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে যেটা বাক্কায় বা মক্কায় অবস্থিত।✅

৩/৯৬ এ বলেছেন নিঃসন্দেহে প্রথম ঘর।
৩/৯৭ এ আল্লাহ বলেন তাতে অর্থাৎ ঐ প্রথম ঘরে সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে।✅

সুস্পষ্ট নিদর্শন হচ্ছে মাকামে ইব্রাহিম। অর্থাৎ ইব্রাহিমের স্থানের নিশানা। আর সেটা আছে প্রথম ঘর বাক্কা মক্কায় তাহলে খুঁজে পাওয়া গেল ইব্রাহিম রাসূল কোথায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন।✅

 কিন্তু এই3/97 আয়াত নিয়ে অনেক ধরনের কথা চলছে।যেমন মাকামে ইব্রাহিম বলতে কেউ বলছেন ইব্রাহিমের ঘর বা ইব্রাহিমের সৌধ।
 তাদের জবাব : 

The word maqam in Arabic means place, location or position.
https://en.m.wikipedia.org › wiki
Arabic maqam - 
Place: জায়গা
Location: স্থান
Position: স্থান
মাকাম শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে স্থান। 

এতেও যদি মানুষের বিশ্বাস না আসে তাহলে 
নিচের এই আয়াতে আল্লাহ নিজেই বলেছেন মাকাম অর্থ স্থান।আর আপনারা কিছু লোক বলে বেরাচ্ছেন মাকাম অর্থ বাড়ি/সৌধ।কার কথা সত্য আল্লাহর নাকি আপনাদের।👎

ওয়া মিনাল্লাইলি ফাতাহাজ্জাদ বিহী নাফিলাতাল্লাকা  ‘আছাআইঁ ইয়াব‘আছাকা রাব্বুকা মাকা-মাম মাহমূদা-।

মাকামাম/মাকামে/মাকাম অর্থ: স্থান
মাহমুদা অর্থ প্রশংসিত

22:🌹"আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন।"
(QS. Al-Isra' 17: Verse 79)

আল্লাহ ইব্রাহিমের অনুসরণ করতে বলেছে এরপরও যারা ইব্রাহিমের অনুসরণ করবে না আল্লাহর নিদর্শনে বিশ্বাস আনবে না তাদের কি বলেছে দেখুন।✅

23:🌹"বল, ‘হে কিতাবধারীগণ! তোমরা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে কেন অমান্য করছ? বস্তুতঃ তোমরা যা করছ, আল্লাহ তার সাক্ষী’।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse 98)

উপরের ঐ আয়াতে কিতাব ধারীগণকে বলছেন তোমরা কেন নিদর্শন অমান্য করছ।
আপনারা বলতে পারেন কিতাব ধারী তারা যাদের কাছে তাওরাত ছিল ইঞ্জিল ছিল জাবুর ছিল। আসলে বিষয়টা তা নয় বিষয়টা হচ্ছে যাদের কাছে আল্লাহর কিতাব আছে তারাই কিতাব ধারী। আল্লাহর কিতাবে থাকতেও যারা তার নিদর্শন অমান্য করেছে তাদেরকে বলা হয়েছে হে কিতাব ধারীগন।✅

24:🌹"উত্তম পন্থা ছাড়া কিতাবধারীদের সাথে তর্ক- বিতর্ক কর না; তবে তাদের মধ্যে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা বাদে। আর বল, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে আর তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার উপর; আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ একই, আর তাঁর কাছেই আমরা আত্মসমর্পণ করেছি।"
(QS. Al-'Ankabut 29: Verse 46)

এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন কিতাবধারী কারা। আমরা কিভাবে কিতাবধারী ওদের কাছে আল্লাহর তাওরাত, ইঞ্জিল,যাবুর ছিল। আমাদের কাছে কোরআন আর আল্লাহর সকল কিতাব মিলে একটি কিতাব সেটা হচ্ছে আল কিতাব।যেটা কোরআন নামে পরিচিত।✅

2/125 মাকামে ইব্রাহিমা মুসল্লা অর্থ ইব্রাহিমের সালাতে দাঁড়ানোর স্থান। এই কথা যারা বিশ্বাস করে না এবং বলে ইব্রাহিমের বাড়ি সৌধ তারা যা করছে আল্লাহ তার সাক্ষী।✅

25:🌹"বল, ‘হে কিতাবধারীগণ! তোমরা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে কেন অমান্য করছ? বস্তুতঃ তোমরা যা করছ, আল্লাহ তার সাক্ষী’।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse 98)

ইব্রাহিম রাসূলের সালাতে দাঁড়ানোর স্থান কে সালাতের স্থান হিসেবে গ্ৰহন করতে বলেছে। সালাতের স্থান থেকেই সালাত নিতে হবে। তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই স্থান ও পাওয়া গেল।সেই স্থান হচ্ছে কাবা।👌

কাবায় যে সালাত প্রচলিত আছে সেই সালাতে রুকু, সিজদা আছে। কিন্তু রুকু, সিজদা সালাতের বাইরের অংশ।✅

প্রমান দেখুন:👎👎👎👎👎👎👎👎👎👎👎👎

26:🌹স্মরণ কর যখন আমি ইবরাহীমকে (পবিত্র) গৃহের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম, (তখন বলেছিলাম) আমার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার গণ্য করবে না, আর আমার গৃহকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, কিয়ামকারী, রূকু‘কারী ও সেজদাকারীদের জন্য।"
(QS. Al-Hajj 22: Verse 26)
এই আয়াতে 
ইব্রাহিম রাসূল কে আল্লাহ বললেন তার গৃহকে পবিত্র রাখতে। তাওয়াফ কারী,  কিয়ামকারী, রুকু ও সেজদা কারীর জন্য। বোঝা যাচ্ছে নামাজে রুকু সিজদা নাই।
যদি থাকতো তাহলে কিয়াম কারীর পরে আলাদা ভাবে রুকু সিজদার কথা বলতেন না।✅

27:🌹"তোমরা নামায কায়িম কর, যাকাত দাও এবং রুকূ‘কারীদের সঙ্গে রুকূ‘ কর।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 43)
নামাজ কায়েম করার পরে আবার রুকু কারীদের সাথে রুকু করতে বলেছে। অর্থাৎ রুকু সালাতের বাইরে।সালাতে রুকু নাই।

28:🌹"হে মু’মিনগণ! তোমরা রুকূ‘ কর, সেজদা কর আর তোমাদের প্রতিপালকের ‘ইবাদাত কর ও সৎকাজ কর যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। [সাজদাহ]"
(QS. Al-Hajj 22: Verse 77)
এই আয়াতে আবার সালাত আদায় করতে বলে নাই রুকু আর সিজদা করতে বলেছে। অর্থাৎ সালাতে রুকু সিজদা নাই।

29:🌹"হে মারইয়াম! ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও, সাজদাহ কর এবং রুকূ‘কারীদের সঙ্গে রুকূ‘ কর’।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse 43)

এই আয়াতে ও মারইয়াম কে সেজদা এবং রুকুর কথা বলেছেন। সেজদা ও রুকু যে সালাতের বাইরের অংশ বুঝা যাচ্ছে।✅

30:🌹"তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনগণ যারা নামায কায়িম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে( রুকু করে) অবনত হয়।"
(QS. Al-Ma'idah 5: Verse 55) 
এই আয়াতে সালাত কায়েম করার পরে রুকু করতে বলেছেন। অর্থাৎ সালাতের মধ্যে রুকু নেই।

31:🌹"হে মু’মিনগণ! তোমরা রুকূ‘ কর, সেজদা কর আর তোমাদের প্রতিপালকের ‘ইবাদাত কর ও সৎকাজ কর যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। [সাজদাহ]"
(QS. Al-Hajj 22: Verse 77)

এই আয়াতে সালাতের উল্লেখ নেই শুধু রুকু ও সেজদা করতে বললেন। অর্থাৎ রুকু সেজদা সালাতের অংশ নয়।✅

32:🌹"মুহাম্মাদ আল্লাহর রসুল। আর যে সব লোক তাঁর সঙ্গে আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, নিজেদের পরস্পরের প্রতি দয়াশীল। তাদেরকে তুমি দেখবে রুকূ‘ ও সাজদায় অবনত অবস্থায়, তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধানে নিয়োজিত। তাদের চিহ্ন হল, তাদের মুখমন্ডলে সেজদা্র প্রভাব পরিস্ফুট হয়ে আছে। তাদের এমন দৃষ্টান্তের কথা তাওরাতে আছে, তাদের দৃষ্টান্ত ইঞ্জিলেও আছে। (তারা) যেন একটা চারাগাছ তার কচিপাতা বের করে, তারপর তা শক্ত হয়, অতঃপর তা কান্ডের উপর মজবুত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়- যা চাষীকে আনন্দ দেয়। (এভাবে আল্লাহ মু’মিনদেরকে দুর্বল অবস্থা থেকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় ক’রে দেন) যাতে কাফিরদের অন্তর গোস্বায় জ্বলে যায়। তাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"
(QS. Al-Fath 48: Verse 29)

এই আয়াতে একটি চারা গাছের দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়েছেন রুকু সিজদা করী মুমিন দ্বীনের উপর শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায় আর আল্লাহ তাদের প্রতি খুশি থাকেন। সালাত আদায় করীর দৃষ্টান্ত কিন্তু এখানে দেয়া হয় নি। কারণ সালাত মুমিনদের উপর ফরয করা হয়েছে। কিন্তু আদায় করে কাফের, মুশরিক,মোনাফেকরাও।তাই সিজদা হচ্ছে: স্বীকার করা আর রুকু হচ্ছে: নত/ অবনত হওয়া এগুলো ইমানদার ও মুমিন ছড়া অন্যরা রুকু, সিজদা করে না। অতএব সালাতের রুকু সিজদা নাই।✅

আল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালা-তিহিম দাইমূন।

33:🌹"যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।
(QS. Al-Ma'arij 70: Verse 23)

প্রচলিত নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকা সম্ভব নয়।
💐

🌹👌কিন্তু প্রশ্ন থেকেই গেল বর্তমান প্রচলিত সালাত যেটা কাবা সহ সারা বিশ্বের মুসলমান আদায় করে তার সাথে কুরআন যে সালাতের কথা বলেছে তার সাথে মিল নেই। কারণ প্রচলিত সালাতে রুকু সেজদা আছে কিন্তু রুকু সেজদা সালাতের বাইরে অংশ উপরে আপনারা দেখেছেন।

তাহলে সালাত কোরআন থেকেই খুঁজে বের করতে হবে।
কারণ। আল্লাহ বলেছেন এমন কোন কিছু নাই যেটা কোরআনে নাই।✅

কাবায় সালাত পাওয়া গেল না তার কারণ হচ্ছে যে রাসূলের কাছে কোরআন নাজিল হয়েছিল।আর সে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর ইসলামকে বিকৃত করেছে।ইতিহাস বলে প্রথম ইসলাম অমান্য কারী ইয়াজিদ ক্ষমতায় আসার জন্য অনেক মুমিনদের হত্যা করে।যারা নিহত হয়েছেন হয়তো তারা বেঁচে থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম সঠিক দ্বীনের অনুসারী হইতো। ইয়াজিদ ছিলো ক্ষমতা লোভী পিশাচ সে নিজেই ছিল মুমিনদের দুশমন আর তার অনুসারীরা কেমন ছিল আপনারা চিন্তা করে দেখুন।

কাবায় সালাত না পাওয়ার দ্বিতীয় কারণ রাসূলের মৃত্যুর 280/300বছর পরে শয়তান নাজিল হয়েছে উজবেকিস্তানের বুখারির উপর তিনি মক্কা মদিনা ঘুরে ঘুরে চাঁদের মা'র গল্প সংগ্ৰহ করে আবার তার ইচ্ছে মত ভুলভাল মনগড়া হাদীস লিখে আরব্য মুহাম্মদের নামে চালিয়ে দিয়েছে।যা সম্পূর্ণ কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলে। কোরআন বলে মুশরিকরা যেন মসজিদুল হারামের প্রবেশ না করে।আর বর্তমান মুশরিকরাই তাঁর মুতাওয়াল্লী/রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আল্লাহ বলেন :✅

34:🌹"মুশরিকদের এটা কাজ নয় যে, তারা আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী সেবক হবে যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর সাক্ষ্য দেয়, তাদের সমস্ত কাজ বরবাদ হয়ে গেছে, জাহান্নামেই তারা হবে চিরস্থায়ী।"
(QS. At-Tawbah 9: Verse 17)

35:🌹"ওহে বিশ্বাসীগণ! মুশরিকরা হল অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন মাসজিদে হারামের নিকট না আসে। তোমরা যদি দরিদ্রতার ভয় কর, তবে আল্লাহ ইচ্ছে করলে অচিরেই তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাব-মুক্ত করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী।"
(QS. At-Tawbah 9: Verse 28)

36:🌹"আল্লাহ যে তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এ ব্যাপারে ওজর পেশ করার জন্য তাদের কাছে কী আছে যখন তারা (মানুষদেরকে) মাসজিদুল হারাম-এর পথে বাধা দিচ্ছে? তারা তো ওর (প্রকৃত) মুতাওয়াল্লী নয়, মুত্তাকীরা ছাড়া কেউ তার মুতাওয়াল্লী হতে পারে না, কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ সম্পর্কে অবগত নয়।"
(QS. Al-Anfal 8: Verse 34)

37:🌹"আল্লাহর মাসজিদের আবাদ তো তারাই করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই হবে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।"
(QS. At-Tawbah 9: Verse 18)

দুর্ভাগ্য মুসলিমদের মসজিদুল হারামের তত্ত্বাবধায়ক আজ মুশরিকরা এজিদ পন্থী নাম নারী ইমাণদাররা।✅

9/17,28 থেকে স্পষ্ট মুশরিকদের মাসজিদুল হারামে প্রবেশ ও রক্ষনা বেক্ষন নিষিদ্ধ। তাদের কে আল্লাহ অপবিত্র বলেছেন।তাই তাদের অনুসরণ নিষেধ। কিন্তু একদল লোক বলে বেড়াচ্ছে কাবা থেকে উঠা বসার নিয়ম নিয়ে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতে। কোরআনে সব কিছু আছে আর সেটা খুঁজে বের করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। মুশরিকদের থেকে ধার করে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা জোড়াতালি সালাত আল্লাহ গ্ৰহণ করবেন কি?✅

 সালাত কি কিভাবে আদায় করতে হয়।

37:🌹******"হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার সন্তানদের একাংশকে শস্যক্ষেতহীন উপত্যকায় তোমার সম্মানিত ঘরের নিকট পুনর্বাসিত করলাম। হে আমার প্রতিপালক! তারা যাতে নামায কায়িম করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর যাতে তারা শুকরিয়া আদায় করে।"
(QS. Ibrahim 14: Verse 37)********

ইব্রাহিম রাসূল তার সন্তানের জন্য দোয়া করলেন যেন সালাত কায়েম করে।
আমি মনে করি সালাত খুঁজে বের করার আগে তার নিয়ম কানুন জেনে নিলে ভালো হয়।✅

আমরা জানি নামাজ /সালাত আদায় করতে অযু করতে হয়, কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হয়।মানে নিয়ম কানুন মানতে হবে। আসলেই নিয়ম কানুন আছে কিনা দেখি।✅

অযু করার নিয়ম।৫/৬!৪/৪৩

38:🌹"হে বিশ্বাসীরা! তোমরা প্রত্যেক সলাতে তোমাদের মুখমন্ডল এবং কনুই পর্যন্ত হস্তদ্বয় ধৌত করবে। আর তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গোড়ালি পর্যন্ত ধৌত করবে। তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাক তবে বিধিমত(গোসল করে) পবিত্রতা অর্জন করবে। আর যদি পীড়িত হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ যদি মলত্যাগ করে আসে অথবা যদি তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর আর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর সংকীর্ণতা চাপিয়ে দিতে চান না, তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান আর তোমাদের প্রতি  তাঁর নি‘আমাত পূর্ণ  করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।"
(QS. Al-Ma'idah 5: Verse 6)
এই আয়াতে শুধু অযুর কথা বলেছেন তা নয়।অসুস্থ লোকদের সালাত আদায় করার কথা রয়েছে। অর্থাৎ অসুস্থ হলেও সালাত আদায় করতে হবে। সালাত আল্লাহর কাছে এতই প্রিয় দেখুন পানি না থাকলে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করতে বলেছে।✅

39:🌹"হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সলাতের নিকটবর্তী হয়ো না যতক্ষণ না তোমরা যা বল, তা বুঝতে পার এবং অপবিত্র অবস্থায়ও (সলাতের কাছে যেও না) গোসল না করা পর্যন্ত *এবং যদি তোমরা পীড়িত হও কিংবা সফরে থাক; অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান হতে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সঙ্গম করে থাক, অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম কর, আর তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় মাসহ কর; আল্লাহ নিশ্চয়ই পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 43)

এই আয়াতে বলা হয়েছে নেশাগ্ৰস্থ অবস্থায় সালাত আদায় না করতে। কারণ নেশা অবস্থায় কি বলছি বুঝতে পারছি না । সালাত আদায়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে বুঝতে পাড়া। এটাই স্পষ্ট করেছে এই আয়াতে।সুস্থ কিংবা অসুস্থ ‌ বুঝতে না পারলে সালাত আদায় করা যাবে না।যারা অর্থ না বুঝে প্রচলিত সালাত আদায় করে তাদের সালাত সঠিক হচ্ছে কিনা নিজেরাই বুঝুন।✅

আপনি নেশা করেননি কিন্তু অসুস্থ কি বলছেন বুঝতে পারছেন না। এই অবস্থায় সালাত আদায় নিষেধ।
আবার বলেছেন তোমরা যদি পিড়িত হও অর্থাৎ  অসুস্থ হও আর পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ বা কষ্টের হয় তাহলে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করতে হবে। সালাত আল্লাহর কাছে এতই পছন্দ। এজন্যই মুমিনদের উপর সালাত ফরজ করা হয়েছে।✅

দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে হবে প্রমান নিচে!

40:🌹"যখন যাকারিয়া ‘ইবাদাত কক্ষে সলাতে দন্ডায়মান তখন ফেরেশতারা তাকে সম্বোধন করে বলল : আল্লাহ তোমাকে ইয়াহ্ইয়া’র সুসংবাদ দিচ্ছেন, সে হবে আল্লাহর পক্ষ হতে আগত কালেমার সত্যতার সাক্ষ্যদাতা, নেতা, গুনাহ হতে বিরত ও নেক বান্দাগণের মধ্য হতে একজন নাবী।"
(QS. Ali 'Imran 3: Verse 39)

41🌹"এবং যখন তুমি মু’মিনদের মাঝে অবস্থান করবে আর তাদের সঙ্গে নামায কায়িম করবে তখন তাদের একটি দল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং সশস্ত্র থাকে, তাদের সাজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান করে এবং অপর যে দলটি নামায আদায় করেনি তারা যেন তোমার সঙ্গে নামায আদায় করে এবং সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে; কাফিরগণ কামনা করে যে, তোমরা যেন তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যাপারে অসতর্ক হও, যাতে তারা একজোটে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমাদের বৃষ্টির কারণে কষ্ট হয়, কিংবা তোমরা পীড়িত হও, তবে অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ কাফিরদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 102)

3/39 এবং 4/102 আয়াত নির্দেশ করে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে।অযু করার পরে দাঁড়াতে হবে এখন কোন দিকে দাঁড়াতে হবে সেটা খুঁজতে হবে।✅

কিবলা :

42:🌹"পূর্ব পশ্চিম আল্লাহরই, সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ কর না কেন, সেদিকেই আছে আল্লাহর চেহারা, আল্লাহ সুবিস্তৃত, সর্বজ্ঞ।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 115)

এই আয়াতে আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান বলেছেন তাহলে যে কোন দিকে মুখ করে তাকে ডাকলেও হবে। আসলেই কি তাই?✅

43:🌹"নিশ্চয়ই আমি তোমার আকাশের দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখাকে লক্ষ্য করেছি, যে ক্বিবলা তুমি পছন্দ কর, আমি তোমাকে সেদিকে ফিরে যেতে আদেশ করছি। তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, ওরই দিকে মুখ ফিরাও; বস্তুতঃ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের জানা আছে যে, ক্বিবলার পরিবর্তন তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রকৃতই সত্য এবং তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে মোটেই গাফিল নন।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 144)

রাসূল কিবলা (দিক)পছন্দ করতেন আর আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান তাই কোন দিকে মুখ করতে হবে হয়তো রাসূল বুঝতে পারছিলেন না আর আল্লাহ সেটা লক্ষ্য করে  মাসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরাতে বলেছেন।✅

44:🌹"আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, নিজের মুখ মাসজিদে হারামের দিকে ফেরাও, নিশ্চয়ই তা তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে পাঠানো সত্য, বস্তুতঃ তোমরা যা করছ আল্লাহ সে সম্পর্কে মোটেই গাফিল নন।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 149)

45:🌹"তুমি যেখান থেকেই বের হও, নিজের মুখ মাসজিদে হারামের দিকে ফিরাও, তোমরা যেখানেই থাক না কেন, নিজেদের মুখগুলো ওর দিকে করিও, যাতে তাদের মধ্যেকার যালিম লোক ছাড়া অন্যান্য লোকেদের তোমাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলার না থাকে, কাজেই তাদেরকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, যাতে আমি তোমাদের প্রতি আমার নি‘মাত পূর্ণ করতে পারি, যাতে তোমরা সত্য পথে পরিচালিত হতে পার।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 150)

২/১৪৯/১৫০ আয়াতে।

আল্লাহ, রাসূল ও ইমানদার সকলকে মাসজিদুল হারামের দিকে মুখ করতে বললেন।কেন মাসজিদুল হারামের দিকে মুখ করতে হবে।কারণ ঐ খানেই দুনিয়ার প্রখম ঘর কাবা।
আর কাবাই হচ্ছে কিবলা। শুধু কিবলার দিকে মুখ করলেই হবে না ঐ খানের নিয়ম কানুন সকলকে ফলো করতে হবে। সবাই যাতে একটি নিয়মের মধ্যে থাকতে পারে।
শুধু এই রাসূকেই কিবলার দিকে মুখ করতে বলেছে তা নয়।তার আগেও কিবলার দিকে মুখ করতে বলেছে মুসা ও তার ভাই কে। কিন্তু সেটা কোন কিবলা আল্লাহ জানেন।✅

ওয়া আওহাইনা ইলা-মূছা-ওয়া আখীহি আন তাবাওওয়াআ-লিকাওমিকুমা-বিমিসরা বুইঊতাওঁ ওয়াজ‘আলূবুইঊতাকুম কিবলাতাওঁ ওয়াআকীমুসসালা-তা ওয়া বাশশিরিল মু’মিনীন।

46:🌹"আমি মূসা আর তার ভাইয়ের প্রতি ওয়াহী করলাম যে, ‘‘মিসরে তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য ঘর তৈরি কর আর তোমাদের ঘরগুলোকে বানাবে কিবলামুখী করে, আর নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও’’।"
(QS. Yunus 10: Verses87)
ঘরেও নামাজ আদায় করা যায় এই আয়াতে বলা হয়েছে। শর্ত কিবলা মুখী হওয়া।

২/১১৫,১৪৪,১৪৯,১৫০!১০/৮৭
আয়াতে  বলা হয়েছে কিবলা মুখী হয়ে সালাত আদায় করতে হবে।📕📕📕📕

নামাজের নিয়ম***********

47:🌹"তার চেয়ে বড় যালেম কে, যে ব্যক্তি আল্লাহর মাসজিদগুলোতে আল্লাহর নাম নিতে বাধা দেয় এবং ওগুলোর ধ্বংস সাধনের চেষ্টা করে? অথচ ভয়ে ভীত না হয়ে তাদের জন্য মাসজিদে প্রবেশ সঙ্গত ছিল না, এদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা এবং পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 114)
মসজিদ আল্লাহর নাম নেয়ার জন্য।

48:🌹"বল, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন’, আর প্রত্যেক মসজিদে( সালাতে )তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে (তাঁর প্রতি) নিবদ্ধ কর, তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে তাঁকে ডাক। যেভাবে তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে  সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে।"
(QS. Al-A'raf 7: Verse 29)।   *******

লক্ষ্য আল্লাহর আনুগত্য মনোযোগ তার প্রতি। বিশুদ্ধ চিত্তে হচ্ছে মনের মাঝে যত কথা চিন্তা ভাবনা সব ভূলে শুধু আল্লাহর ধ্যানে ডাকা।✅

49:🌹"যারা নিজেদের নামাযে বিনয় নম্রতা অবলম্বন করে।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 2)

50:🌹"বল- আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আল্লাহর ‘ইবাদাত করতে তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।"
(QS. Az-Zumar 39: Verse 11)

51:🌹"বল- আমি ‘ইবাদাত করি আল্লাহর বিশুদ্ধভাবে তাঁর প্রতি আমার আনুগত্যের মাধ্যমে।"
(QS. Az-Zumar 39: Verse 14)

52:🌹যে"তোমার প্রতিপালককে মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়-ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যায় স্মরণ কর আর উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।"
(QS. Al-A'raf 7: Verse 205)

মনে মনে অন্তরের গভীর থেকে ভয় ভীতি নিয়ে অনুচ্চস্বরে ডাকতে হবে।✅

53:🌹"এবং যখন তুমি মু’মিনদের মাঝে অবস্থান করবে আর তাদের সঙ্গে নামায কায়িম করবে তখন তাদের একটি দল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং সশস্ত্র থাকে, তাদের সাজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান করে এবং অপর যে দলটি নামায আদায় করেনি তারা যেন তোমার সঙ্গে নামায আদায় করে এবং সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে; কাফিরগণ কামনা করে যে, তোমরা যেন তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যাপারে অসতর্ক হও, যাতে তারা একজোটে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমাদের বৃষ্টির কারণে কষ্ট হয়, কিংবা তোমরা পীড়িত হও, তবে অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ কাফিরদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 102)
এই আয়াতে বিপদে আপদে কিভাবে সালাত আদায় করতে হবে বলা হয়েছে।✅

ফাইযা-কাদাইতুমুসসালা-তা ফাযকুরুল্লা-হা কিয়া-মাওঁ ওয়াকু‘ঊদাওঁ ওয়া‘আলা জুনূবিকুম ফাইযাতমা’নানতুম ফাআকীমুস সালা-তা ইন্নাসসালা-তা কা-নাত ‘আলাল মু’মিনীনা কিতা-বাম মাওকূতা-।

54:🌹"যখন তোমরা সালাত আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামায কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামায কায়িম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 103)

বিপদে সালাত আদায় শেষে দাঁড়িয়ে শুয়ে বসে আল্লাহকে স্বরণ করতে হবে।নিরাপদ হলে সালাতের নিয়মে কায়েম করতে হবে। শেষে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে সালাত কায়েম মুমিনদের কর্তব্য।তার মানে সালাতের সময় বেঁধে দিয়েছে আল্লাহ।✅

এতো গেল সালাত আদায়ের নিময়।

এখন সালাত আদায়ের সময় দেখে নেয়া যাক।

55:🌹"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাসদাসীগণ আর তোমাদের যারা বয়:প্রাপ্ত হয়নি তারা যেন (তোমাদের কাছে আসতে) তোমাদের অনুমতি গ্রহণ করে তিন সময়ে- ফাজর নামাযের পূর্বে, আর যখন দুপুরে রোদের প্রচন্ডতায় তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ আর ‘ইশার নামাযের পর। এ তিনটি তোমাদের পোশাকহীন হওয়ার সময়। এ সময়গুলো ছাড়া অন্য সময়ে (প্রবেশ করলে) তোমাদের উপর আর তাদের উপর কোন দোষ নেই। তোমাদের এককে অন্যের কাছে ঘুরাফিরা করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্দেশ খুবই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই হিকমতওয়ালা।"
(QS. An-Nur 24: Verse 58)

সালাতের সময় নির্ধারিত আছে 24/58আয়াত প্রমান করে। এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ফজর এবং এশার সময়।✅

56:🌹"তুমি নামায প্রতিষ্ঠা কর দিনের দু’ প্রান্ত সময়ে আর কিছুটা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর, পূণ্যরাজি অবশ্যই পাপরাশিকে দূর করে দেয়, এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।"
(QS. Hud 11: Verse 114)। 

দিনের দুই প্রান্তে বলতে দিন শুরু হওয়ার আগে ফজর এবং দিন শেষে মাগরিব। কিছুটা রাত অতিবাহিত হচ্ছে এশা।

11/114 এই আয়াতে তিন সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে। ফজর, মাগরিব, এশা।24/58 আয়াতে ফজর,এশা । 
এখন বাকি রইল যুহর,আছর এই দুই সময়ের আয়াত পরে দেয়া হবে।
সালাতের নির্দিষ্ট সময় আছে সেটা পাওয়া গেল।✅

এখন ঐ নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহ কোন আমল/কাজ করতে বলেছে তাই সালাত।কারণ আল্লাহ বলেছেন আমি কারো উপর জুলুম করি না।✅

কিছু আয়াত দেখে নিন।👎

57:🌹"অবশ্যই আল্লাহ মানুষদের প্রতি কোন যুলম করেন না, কিন্তু মানুষ নিজেদের প্রতি যুলম ক’রে থাকে।"
(QS. Yunus 10: Verse 44)

আবার 2/185 আয়তে বলেছেন আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান যা কষ্ট দায়ক তা চান না।তাই আল্লাহ একই সময়ে দুইটি কাজ করতে বলবেন না নিশ্চয়।✅

58:🌹"আমার কথা কক্ষনো বদলে না, আর আমি আমার বান্দাহদের প্রতি যুলমকারীও নই।"
(QS. Qaf 50: Verse 29)

59:🌹"আল্লাহ অণু পরিমাণও যুলম করেন না, আর কোন পুণ্য কাজ হলে তাকে তিনি দ্বিগুণ করেন এবং নিজের নিকট হতেও বিরাট পুরস্কার দান করেন।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 40)

11/114আয়াতে দিনের দুই প্রান্তে সালাত আদায় করার কথা রয়েছে।যেমন ফজর ও মাগরিব এই সময় আল্লাহ কি করতে বলেছে দেখুন!✅

60"তুমি নামায প্রতিষ্ঠা কর দিনের দু’ প্রান্ত সময়ে আর কিছুটা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর, পূণ্যরাজি অবশ্যই পাপরাশিকে দূর করে দেয়, এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।"
(QS. Hud 11: Verse 114)

এই আয়াতে দিনের দুই প্রান্তে সালাত আদায় করার কথা রয়েছে।যেমন ফজর ও মাগরিব এই সময় আল্লাহ কি করতে বলেছে দেখুন!✅

61:অতএব তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হও আর সকালে,"
(QS. Ar-Rum 30: Verse 17)

দিনের দুই প্রান্ত কি সকাল অর্থাৎ ফজর আর সন্ধ্যা অর্থাৎ মাগরিব নয়।তাই পবিত্রতা মহিমা ঘোষণা করাই হচ্ছে সালাত।

নিচের 50/39,আয়াতে বলা হয়েছে।সূর্য্য দয়ের পূর্বে অর্থাৎ ফজর।
আর ফজরের সময় আল্লাহর মহিমা এবং প্রশংসা করতে বলা হয়েছে। প্রশংসা এবং মহিমা ঘোষণা করাই হচ্ছে সালাত।
আবার সূর্যাস্তের পূর্বে প্রশংসা মহিমা ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। সূর্যাস্তের পূর্বে অপরাহ্ন অর্থাৎ বিকেল আসরের সময়।
50/ 39 আয়াতে 2 ওয়াক্তের সালাত পাওয়া গেল ফজর এবং আসরের।✅

62;🌹"কাজেই তারা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর আর সূর্যোদয়ের পূর্বে আর সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের মহিমা ও প্রশংসা ঘোষণা কর।"
(QS. Qaf 50: Verse 39)

63:🌹"আর তাঁর প্রশংসা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে আর সেজদার পরে।"
(QS. Qaf 50: Verse 40)

রাত্রির একাংশে তার প্রশংসা ঘোষণা করতে বলা হয়েছে এটা হতে পারে রাত্রের যেকোন একাংশ তার মধ্যে একটি অংশ যেমন এশা এবং সেজদার পরে অর্থাৎ আল্লাহ কে স্বীকার কর এবং প্রশংসা কর। বলতে পারেন এশা আপনার মনগড়া না আমি মনগড়া কিছু বলতে চাই না 24/58 আয়াতে এশার সালাত উল্লেখ করা হয়েছে তাই এশা বলেছি।

50/39,40 এই দুই আয়াত থেকে পাওয়া গেল ৩ সময়ের সালাত ফজর আসর এশা আর 11/114আয়াত থেকে পাওয়া গেল ফজর, মাগরিব।✅

11/114,50/39,40 আয়াতে সালাত পাওয়া গেল হচ্ছে আল্লাহর প্রশংসা মহিমা ঘোষনা এটা সালাত। বাকি যোহরের সালাত আল্লাহ আরেকটি আয়াতে যোহরের সময় তাঁর প্রশংসা মহিমা ঘোষণা করতে বলেছে দেখুন।✅

64:🌹"অতএব তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হও আর সকালে,"
(QS. Ar-Rum 30: Verse 17)

65:🌹"এবং অপরাহ্নে ও যুহরের সময়ে; আর আসমানসমূহে ও যমীনে প্রশংসা তো একমাত্র তাঁরই।"
(QS. Ar-Rum 30: Verse 18)

11/114,50/39,40 আয়াতে প্রমাণ হয়েছে আল্লাহর প্রশংসা মহিমা ঘোষণা করাই সালাত। ঠিক সেই মহিমা ও প্রশংসা ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।30/17, সকাল সন্ধ্যায় 30/18 অপরাহে এবং যোহরে। ✅

 আলহামদুলিল্লাহ সুবহান আল্লাহ। আল্লাহর দেয়া সালাত তার করুণায় তার দয়ায় খুঁজে পাওয়া গেল শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে।✅

প্রশংসা: আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
অর্থ: যাবতীয় সকল প্রশংসা জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।🌹🌹🌹🌹🌹

পবিত্রতা ও মহিমা: সুবহান আল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ পবিত্র ও মহাণ।🌹🌹🌹🌹

পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করা যে সালাত তার আরও একটি প্রমাণ দেখুন।

66:"প্রকৃতই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমার ‘ইবাদাত কর, আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে নামায কায়িম কর।’"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 14)

এই আয়াতে আল্লাহ মুসাকে সরাসরি ডেকে বলছে আমি আল্লাহ আমাকে স্বরণ করার উদ্দেশ্যে সালাত কায়েম কর।
আর মুসা বলছেন কি দেখুন:

67:"মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 25)

68:"আর আমার জন্য আমার কাজকে সহজ করে দাও।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 26)

69:"আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 27)

70:"যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 28)

71:"আর আমার পরিবার হতে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দাও।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 29)

72;"আমার ভাই হারূনকে।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 30)

73"তার দ্বারা আমার শক্তি বৃদ্ধি কর।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 31)

74:"আমার কাজে তাকে অংশীদার কর।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 32)

75:"যাতে আমরা বেশি বেশি করে তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 33)

76:"আর তোমাকে অধিক স্মরণ করতে পারি।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 34)

20/14আয়াতে আল্লাহ মুসাকে বললেন সালাত আদায় করতে আর মুসা আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে বলছে আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। আমার কাজ সহজ করে দিন, জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, আমার পরিবার থেকে আমার ভাইকে আমার সাহায্যকারী করে আমার শক্তি বৃদ্ধি করে আমার কাজে তাকে অংশীদার করুন যাতে আমরা অর্থাৎ মূসা ও হারুন বেশি বেশি তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি এবং তোমাকে অধিক স্বরন করতে পারি।
আল্লাহ বলছেন মুসাকে সালাত আদায় করতে আর মুসা বলছেন আমরা যেন তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি এতে কি প্রমানীত হয় না যে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করাই হচ্ছে সালাত।যদি তা না হতো তাহলে মুসা কি ভুল করলেন নিশ্চয়ই নয়।

সালাত পাওয়া গেল এখন আল্লাহর প্রশংসা, পবিত্রতা, মহিমা কিভাবে পাঠ করতে হবে।মনে মনে, আস্তে আস্তে, জোরে কোন পন্থা অবলম্বন করতে হবে সেটা খুঁজে বের করা যাক।।✅

77:🌹তোমার প্রতিপালককে মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়-ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যায় স্মরণ কর আর উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।"
(QS. Al-A'raf 7: Verse 205)

78:🌹"বল, ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো বা রহমান নামে ডাকো, যে নামেই তাঁকে ডাকো না কেন (সবই ভাল) কেননা সকল সুন্দর নামই তো তাঁর।’ তোমার সলাতে স্বর উচ্চ করো না, আর তা খুব নীচুও করো না, এ দু’য়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন কর।"
(QS. Al-Isra' 17: Verse 110)🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
7/205  এবং 17/110 আয়াতে বলা হয়েছে সালাতে স্বর মধ্যবর্তী রাখতে।

সালাত সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি।

79:🌹×(((((("যারা তোমার প্রতিপালকের নিকট আছে তারা তাঁর ‘ইবাদাত করার ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে না, তারা তাঁর মহিমা ঘোষণা করে আর তাঁর জন্য সাজদাহয় অবনত হয়। [সাজদাহ]"
(QS. Al-A'raf 7: Verse 206)🔥×

অনেকে নিচের এই আয়াত দিয়ে প্রশ্ন করে আল্লাহ ভীরু লোক ছাড়া সালাত আদায় করা কঠিন। সেটা কোন সালাত নিচে দুটি আয়াত উল্লেখ করছি বুঝে নিন।✅

80:🌹প্রশ্ন 1:"তোমরা ধৈর্য্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর, আর তা আল্লাহভীরু ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য সকলের কাছে নিশ্চিতভাবে কঠিন।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 45))))))

81:🌹"সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় হতে রাত্রির গাঢ় অন্ধকার পর্যন্ত নামায প্রতিষ্ঠা কর, আর ফাজরের কুরআন পাঠ নিশ্চয়ই ফাজরের  কুরআন পাঠ  সরাসরি সাক্ষ্য হয়।"
(QS. Al-Isra' 17: Verse 78)

সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় হতে রাত্রির গাঢ় অন্ধকার পর্যন্ত একটা লম্বা সময় সালাত প্রতিষ্ঠা করতে বলেছে আর তা কঠিন। কোন ব্যক্তি সেটা করতে পারে তা নিচের আয়াতে বলেছেন।✅

82:🌹"তোমরা ধৈর্য্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর, আর তা আল্লাহভীরু ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য সকলের কাছে নিশ্চিতভাবে কঠিন।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 45)

প্রশ্ন 2: নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে কিভাবে এই আয়াতগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন ।✅

83:🌹"তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয়েছে কিতাব থেকে তা পাঠ কর আর নামায প্রতিষ্ঠা কর; নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ (বিষয়)। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন।"
(QS. Al-'Ankabut 29: Verse 45)

প্রথমত :সালাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে তাই সালাতের প্রথম শর্ত হচ্ছে ওযু করা। ওযু মানুষকে পবিত্র পরিচ্ছন্ন করে এবং মস্তিষ্ক আপনাকে মেসেজ দিচ্ছে আল্লাহর 
সামনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছ।✅

দ্বিতীয়তঃ 4/43 বলা হয়েছে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের ধারের কাছে যেও না।
23/2 আয়াতে বলা হয়েছে সালাতে বিনয় নম্রতা অবলম্বন কর।
7/206 আয়াতে বলা হয়েছে যারা তোমার প্রতিপালকের কাছে আছে তারা তার প্রশংসা ও মহিমা অর্থাৎ সালাত আদায় করতে অহংকার করে না।✅

এখন দেখুন কিভাবে সালাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
1 নাম্বার: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাত আদায় করা যাবে না।
2 নাম্বার: বিনয়ী এবং নম্রতা অবলম্বন করতে হবে।
3 নাম্বার: অহংকার করা যাবে না অহংকার ত্যাগ করতে হবে।

ঐ সকল আয়াত থেকে বোঝা গেল সালাত আদায়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে, অশ্লীল মন্দ কাজ, নেশাগ্রস্ত, অহংকার ত্যাগ করতে হবে।আর এই সব কিছু ত্যাগ করে সালাত আদায় করতে বলেছে। সালাত ঐ সকল কাজ থেকে কিভাবে বিরত রাখে। ঐ সকল কাজ বাদ দিয়ে সালাত আদায় করতে বলেছে।✅

84:🌹"তোমরা সলাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সলাতের প্রতি এবং আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 238)

এই আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হয়ে সালাত আদায় করতে হবে আগের কিছু আয়াতে বলা হয়েছে বিনয়ী নম্রতা অবলম্বন করতে হবে অহংকার ত্যাগ করতে হবে। এগুলো হচ্ছে সালাতের পূর্বশর্ত সালাত আদায় করলে এগুলো মানতে হবে। আল্লাহ বলেছেন মুমিনদের উপর সালাত ফরজ করা হয়েছে। দেখুন মুমিনরা ওই কাজগুলো করে কিনা নিচের আয়াতে।✅

85:🌹"মু’মিনরা সফলকাম হয়ে গেছে।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 1)

86:🌹"যারা নিজেদের নামাযে বিনয় নম্রতা অবলম্বন করে।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 2)

87:🌹"যারা অসার কথাবার্তা এড়িয়ে চলে।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 3)

88:"🌹যারা যাকাত দানে সক্রিয়।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 4)

89:🌹"যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষণ করে।"
(QS. Al-Mu'minun 23:verse 5)

90:🌹"আর যারা নিজেদের আমানাত ও ওয়াদা পূর্ণ করে।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 8)
Allah Subhanahu Wa Ta'ala said:

91:🌹"আর যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে যত্নবান।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 9)

92:🌹"তারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে, যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে।"
(QS. Al-Mu'minun 23: Verse 11)
  
23 নাম্বার সূরা মুমিনুন এর 1,2,3,4,5,8,9 যে সকল গুণের কথা বলা হয়েছে এই সকল গুন অর্জন করে মুমিন হতে হবে এবং এই সালাত মুমিনদের জন্য ।এজন্য আল্লাহ বলেছে সালাত অশ্লীল ও মন্দ কাছ থেকে দূরে রাখে। সালাত আদায়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে অশ্লীল মন্দ কাজ ছেড়ে দেয়া মুমিনদের ওই সমস্ত গুণ অর্জন করা।✅

দেশে একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আছে সালাত আদায় করলে নাকি অশ্লীল এবং মন্দ কাজ ছাড়া যায় অথবা সালাত অশ্লীল মন্দ কাজ হইতে বিরত রাখে। এটা ভুল এবং উল্টো একটি ধারণা। তা উপরের ওই আয়াতগুলোতে প্রমাণিত।

93:🌹:আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন।"
(QS. Al-Isra' 17: Verse 79)

এই আয়াতে তাহাজ্জুদের কথা বলা হয়েছে তাহাজ্জুদ আসলে কোন সালাত নয় তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হচ্ছে রাত্রি জাগরণ। আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেছে রাত্রির যেকোনো সময়ে সালাত আদায় করতে পারো আল্লাহর প্রশংসা মহিমা ঘোষণা করতে পারো কিন্তু সেটা তাহাজ্জুতের সালাত নয়। তাহাজ্জুদ অর্থ রাত্রি জেগে আল্লাহর ইবাদত করা অথবা আল্লাহর প্রশংসা মহিমা বর্ণনা করা।

94🌹:"তোমরা সলাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সলাতের প্রতি এবং আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 238)

এই আয়াতে বলা হয়েছে সালাতের প্রতি যত্নবান হও বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি। কুরআনে মধ্যবর্তী সালাত বলতে কোনো ওয়াক্তের সালাতকে নির্দিষ্ট করে বলেনি। তাহলে মধ্যবর্তী সালাতটা কি?
মধ্যবর্তী সালাতটা হচ্ছে সালাত আদায়ের ক্ষন বা সময় যেমন ধরুন আপনি ৩০ মিনিট সালাত আদায় করছেন এই ৩০ মিনিটকে তিনটি ভাগ করেন ১০-১০ -১০ এইযে ৩০ মিনিটকে তিন ভাগে ভাগ করা হলো এর ভিতরে মাঝখানের মধ্যে 10 মিনিটকে বলা হয়েছে মধ্যবর্তী সালাত। মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি কেন যত্নবান হতে বলেছে? সালাত আরম্ভ করার পর ধীরে ধীরে আপনার মনোযোগ আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ হবে কিছু সময় আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে আপনার মনোযোগ নিবদ্ধ থাকবে তারপর সময় গড়িয়ে যেতে যেতে একসময় আপনার মনোযোগ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে আল্লাহর প্রতি মনোযোগ গভীরভাবে নিবদ্ধ হওয়া সময়ের প্রতি যত্নবান হতে বলেছে। যাতে ওই সময়ে মস্তিষ্কে কল্পনায় অন্য কিছু না আসে ওই সময়টাকে ব্যাঘাত না ঘটায় ।ঐ সময় আমাদের মনোনিবেশ আল্লাহ প্রত্যক্ষ করেন যে আমরা কতটুকু মনযোগ দিয়ে সালাত আদায় করছি এবং আল্লাহ তার সাক্ষী থাকেন।
প্রমান:

95;"তুমি যে অবস্থাতেই থাক না কেন, আর তুমি কুরআন থেকে যা কিছুই তিলাওয়াত কর না কেন, আর যে ‘আমালই তোমরা কর না কেন, আমি তোমাদের উপর রয়েছি প্রত্যক্ষদর্শী, যখন তোমরা তাতে পূর্ণরূপে মনোনিবেশ কর। এমন অণু পরিমাণ বা তাত্থেকে ছোট বা তাত্থেকে বড় বস্তু না আছে পৃথিবীতে, আর না আছে আসমানে যা তোমার প্রতিপালকের দৃষ্টির আড়ালে আছে। তা (লেখা) আছে এক সুস্পষ্ট কিতাবে।"
(QS. Yunus 10: Verse 61)

আল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালা-তিহিম দাইমূন।

96:🌹:"যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।
(QS. Al-Ma'arij 70: Verse 23)

এই আয়াতে বলা হয়েছে যারা তাদের সালাতে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন প্রচলিত সালাত সার্বক্ষণিক কায়েম থাকা সম্ভব?
নাকি আমার এই অনুসন্ধানে কোরআন থেকে যে সালাত বেরিয়ে এসেছে সেটা কায়েম থাকা সম্ভব ।
অবশ্যই কুরআনের এই সালাত সার্বক্ষণিক কায়েম থাকা সম্ভব কারণ এই সালাতে রুকু নাই সেজদা নাই যদিও সেজদা সালাত শেষে আপনি করতে পারেন।যেমন সকল  প্রশংসার মালিক আল্লাহ পবিত্র ও মহাণ স্বীকার  করে মাটিতে লুটিয়ে পড়া।স্বীকার অর্থ সেজদা, লুটিয়ে পড়া সেজদা নয় লুটিয়া পড়া হচ্ছে আল্লাহর কাছে আমার ভেতরের অনুগত্য প্রকাশ করা। যদিও আল্লাহ সব কিছু জানেন।✅

সারা বিশ্বের আলোচিত সালাতের একটি বিষয় সেটি হলো যে, দেশে ছয় মাস দিন ৬ মাস রাত সেই দেশের মানুষ কিভাবে সালাত আদায় করবে আল্লাহর কুরআন পরিপূর্ণ কোন সন্দেহ নেই সেই আয়াতটিও কোরআনেই আছে দেখে নিন।✅

তার আগে একটু মনে করিয়ে দেই।

সালাত শব্দের অর্থ হচ্ছে: আল্লাহর প্রশংসা,পবিত্রতা,মহিমা বর্ণনা করা।✅

আর তসবিহ শব্দের অর্থ হচ্ছে: প্রশংসা, পবিত্রতা,মহিমার বাণী।✅

ফাসবির ‘আলা-মা-ইয়াকূলূনা ওয়া ছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা কাবলা তুলূ‘ইশশামছি ওয়া কাবলা গুরূবিহা- ওয়া মিন আ-নাইল্লাইলি ফাছাব্বিহওয়া আতরা-ফান্নাহা-রি লা‘আল্লাকা তারদা-।

97:"🌹কাজেই তারা যা বলছে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাগীতি (নিয়মিত) উচ্চারণ কর সূর্যোদয়ের পূর্বে ও তা অস্তমিত হওয়ার পূর্বে এবং তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রিকালে ও দিনের প্রান্তগুলোয় যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।"
(QS. Ta-Ha 20: Verse 130)

কাবলা তুলূইশশামছি: শামস অর্থ সূর্য অর্থাৎ যেখানে শুধুই দিন। আবার বলা হয়েছে কাবলা গুরুবিহা ওয়া মিন আনা লাইলি। অর্থাৎ যেখানে শুধুই রাত।
পরে আবার বলা হয়েছে রাত্রি কালে ও দিনের প্রান্ত গুলোয়
অর্থাৎ যখন দিনরাত্রি সমান সমান হয়ে যাবে তখন রাত্রে ফজর এশা দিনে যোহর আসর সন্ধ্যায় মাগরি। 
যদি এই আয়াত এইভাবে না হতো তাহলে কেন দুইবার করে সূর্যোদয়ের পূর্বে অর্থাৎ রাত এবং সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে অর্থাৎ দিন এবং শেষে বলা হয়েছে রাত্রি কালে ও দিনের প্রান্ত সময়ে। অর্থাৎ যেই সময়ে সালাত ফরজ করা হয়েছে।
এই আয়াতটি বুঝতে সকলের কাছে অনুরোধ একটু চিন্তা ভাবনা করুন করলেই বুঝতে পারবেন।✅

প্রশ্ন যেখানে শুধু দিন আবার শুধুই রাত সেখানে ফজর যোহর আছর মাগরিব এশা এই সময় কিভাবে নির্ধারণ করব।
চিন্তা করুন অন্ধ কিন্তু বুঝতে পারে কখন রাত এবং কখন দিন ঠিক তেমনি আমাদের প্রত্যেকের দেহে একটি মানব ঘড়ি চলছে সেই মানব ঘড়ি আপনাকে বলে দেবে ওই সময়গুলো যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করা হয় দুপুরের খাবার সময় হলেই ওই ঘড়ি আপনাকে সিগনাল দেয় ক্ষুধা লেগেছে খাবার সময় হয়েছে খাবার খাও। ঠিক এই পদ্ধতিতেই আপনার মানব ঘড়ি আপনাকে বলে দেবে সালাতের সময়।
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
98:🌹"যদি তোমরা ভয় কর, তবে পদচারী কিংবা আরোহী অবস্থায়ই নামায আদায় করবে। যখন নিরুদ্বেগ হবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 239)

এই আয়াতে পথচারী কিংবা আরোহী অবস্থায় নামাজ আদায় করার পর যখন নিরাপদ হবে তখন আল্লাহকে স্মরণ করতে বলেছে যেভাবে আমাদেরকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
এখন আল্লাহকে স্মরণ করার শিক্ষা কিভাবে দিয়েছে দেখুন নিচের আয়াতে।

99:🌹"অতঃপর মহান হাজ্জের করণীয় কার্যাবলী সমাপ্ত করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাক, বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ কর। লোকেদের কেউ কেউ বলে থাকে- হে আমাদের  প্রতিপালক! আমাদেরকে এ দুনিয়াতেই প্রদান কর, বস্তুতঃ সে আখেরাতে কিছুই পাবে না।"
(QS. Al-Baqarah 2: Verse 200)

100:🌹"তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে বিনয়ের সঙ্গে এবং গোপনে আহবান কর, তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।"
(QS. Al-A'raf 7: Verse 55)

101:🌹"তোমার প্রতিপালককে মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়-ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যায় স্মরণ কর আর উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।"
(QS. Al-A'raf 7: Verse 205)

2/200 আয়াতে বাপ দাদাদের কিভাবে স্মরণ করে  বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করতে হবে আল্লাহকে এভাবে আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন।
7/55 আয়াতে বিনয়ের সঙ্গে গোপনে আহবান করতে বলা হয়েছে।
7/205 আয়াতে ভয়-ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে স্মরণ করতে বলা হয়েছে।✅

সালাতের পরে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা ছাড়া আলাদা কোন তসবি নেই।
তসবি অর্থ প্রশংসা বাণী আর সালাতে যে বাণী উচ্চারণ করা হয় তা প্রশংসারই বাণী।✅

আল্লাযীনা হুম ‘আলা-সালা-তিহিম দাইমূন।

102:🌹"যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।
(QS. Al-Ma'arij 70: Verse 23)

আল্লাহ তাআলা তার সালাতে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকার কথা বলেছে। কোরআন থেকে যে সালাত আমি আপনাদের উপস্থাপন করলাম আপনারাই চিন্তা করুন এই সালাত সার্বক্ষণিক কায়েম থাকা সম্ভব কিনা ? আমি বলব অবশ্যই অবশ্যই সম্ভব। 
নিচের কিছু কথা কুরআনের আয়াত উল্লেখ না করে বলা হলো কারণ আয়াত উল্লেখ করতে গেলে অনেক বড় হয়ে যায় পোস্ট।
আল্লাহকে প্রশংসা এবং মহত্বের বাণী শোনানোই সালাত এই সালাত আল্লাহতালা কতটা পছন্দ করে সেটা আল্লাহই ভাল জানে। কারণ আল্লাহর চার পাশে যারা আছে তারা সব সময় তাঁর প্রশংসা এবং মহাত্য ঘোষণা করে। তারা ক্লান্ত বোধ করেনা। দুনিয়ায়ও কিছু লোক তার প্রশংসা মাহাত্ম্য ঘোষণা করে গাছপালা পশুপাখি পর্বত নদী-নালা অর্থাৎ আল্লাহর সৃষ্টি সকলেই আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা করে প্রশংসা ঘোষণা করে। চিন্তা করে দেখুন আল্লাহর কাছে এই সালাত কতটা প্রিয়।✅

সর্বশেষ কিছু কথা তাহলে সালাত শব্দের অর্থ কি?
সালাত শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রশংসা করা। সালাত আদায়কারী হচ্ছে প্রশংসা কারি। সালাত কায়েমকারী অর্থাৎ দাঁড়িয়ে প্রশংসা করা।✅

সালাতে কিভাবে দোয়া করবেন দেখুন:

103:🌹"যারা ‘আরশ বহন করে আছে, আর যারা আছে তার চারপাশে, তারা তাঁর প্রশংসার সাথে তাঁর মাহাত্য ঘোষণা করে আর তাঁর প্রতি ঈমান পোষণ করে আর মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ক’রে বলে- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।"
(QS. Ghafir 40: Verse 7)

সুবহানাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ মহান ও পবিত্র  স্বীকার( সেজদা) করে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে পারেন। লুটিয়ে পড়ে আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন বলে সালাত শেষ করতে পারেন।✅ এটা আমার মত এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
বাকি আপনাদের ইচ্ছে।

104:🌹"তুমি ফেরেশতাদেরকে ‘আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের প্রতিপালকের মাহাত্ম্য ঘোষণা ও প্রশংসা করতে দেখতে পাবে। মানুষের মাঝে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে বিচার-ফয়সালা করা হবে। আর ঘোষণা দেয়া হবে যে, যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য।"
(QS. Az-Zumar 39: Verse 75)

যাকারিয়া যখন পুত্রের সুসংবাদ পেল তখন তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না এই বৃদ্ধ বয়সে কিভাবে সন্তান হবে। তখন আল্লাহ তাকে বললেন তুমি তিন দিন কথা না বলার সিয়াম পালন করবে। তখন যাকারিয়া তার ঘর থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের সকলকে সকাল সন্ধ্যা আল্লাহর প্রশংসা পবিত্রতা বর্ণনা করতে বলেছে।আর এই প্রশংসা পবিত্রতা হচ্ছে সালাত।                       

105: "অতঃপর সে তার কুঠরি থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে গেল এবং ইশারায় তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর প্রশংসা-পবিত্রতা বর্ণনা করতে বলল।"
(QS. Maryam 19: Verse 11)

কোরআন থেকে যে সালাত পাওয়া গেছে সেটা প্রকৃত সালাত তার আরও একটি প্রমাণ:

106:"শিশুটি বলে উঠল, ‘আমি আল্লাহর বান্দাহ, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আর আমাকে নবী করেছেন।"
(QS. Maryam 19: Verse 30)

শিশুটি হচ্ছে ঈসা নবী 

107:"আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন আর আমাকে নামায ও যাকাতের হুকুম দিয়েছেন- যতদিন আমি জীবিত থাকি।"
(QS. Maryam 19: Verse 31)

ঈসা নবী মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় বলে উঠলো আমি আল্লাহর বান্দা ও নবী এবং আমাকে বরকতময় করেছেন।আর আমাকে সালাত ও যাকাতের হুকুম দিয়েছে।
প্রশ্ন: প্রচলিত সালাত ঐ কোলের শিশু কিভাবে আদায় করবে? কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু আমি কোরআন থেকে যে সালাত উপস্থাপন করেছি সেটা সম্ভব। কারণ 70/23আয়াতে সার্বক্ষণিক সালাতের কথা বলা হয়েছে।আর সার্বক্ষণিক সালাত শুয়ে, বসে,দাড়িয়ে চলতে পথে আদায় করা যায়।
আল্লাহর প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহত্ব ঘোষণা করা হচ্ছে সালাত।
Sourse: satyarSandhan fb:

Comments

Popular posts from this blog

By sam(SJC)Shayṭān, Jinn, and Related Terms Considered: by Sam

About Quran by David Namuh

Special Note 2:79